আম গাছের মগডালের যে পাতা
ঝরে গেছে খুব অকালে,
ঝড়ে কিংবা মৃদু বাতাসে
তাকে কে কোথায় মনে রাখে?
লোকাল বাসের শেষ সিটে
ভুলে ফেলে আসা
নতুন বল পেন আর জামিতি বক্স
দিন দুয়েক পরে তাদের কথা
কে কোথায় মনে রাখে?
ছোটবেলার সুন্দর সকালে
ঘটে যাওয়া জীবনের
বিশাল এক কান্ড, মুসলমানি-
তার এতো ব্যাথা কদিন পরে
কে কোথায় মনে রাখে?
তারপর কে মনে রাখে,
ছোট বেলায় অঙ্ক মাস্টারের কাছে শেখা
বীজগণিতের সুত্র আর
উপপাদ্যের প্যাঁচ?
রাস্তায় পথ শিশুকে দেওয়া
চকচকে একশত টাকার নোট
আর মাথায় বুলিয়ে দেওয়া হাত
তারপর তার অকৃম হাসি দেখায় আনন্দ
কে কোথায় মনে রাখে?
কে কোথায় মনে রাখে
জন্ম দেওয়ার সময় সন্তান হারানোর
তার শিশুর নিস্তেজ চাহনির
সেই মর্মাহত দৃশ্য?
কে কোথায় মনে রাখে?
এক সময় জীবনকে শেষ করতে যাওয়া
সদ্য কিশোরে পা দেওয়া কিশোরী
তারপর বেঁচে যায় আশার, ভালোবাসায়
তার সেই নরকের দিনগুলোর কথা?
কে কোথায় মনে রাখে?
আহত প্রাণগুলোকে যারা
অকালে ঝড়ে গেলো, বড় অসময়ে
একটু আশা যাদের দেখাতে পারতো
বেঁচে ফেরার পথ।
কে মনে রাখে,
রাজপথে যে ছেলে দেয় প্রাণ?
আর যে মেয়ে রাষ্ট্রের কাছে চায়
সম্ভ্রমের নিরাপত্তা, আকুলতায়?
কে কোথায় মনে রাখে
কত চাওয়া-পাওয়া মিটিয়ে দিয়েছে খোদা
অথচ না চাওয়ায়, কত অকস্মাৎ!
কেউ কোথাও মনে রাখে না
যেমন মনে রাখে না গাছ তার
ভেঙ্গে যাওয়া ডালকে আর
কম দামে কেনা পাঞ্জাবী
তার থেকে ঝড়ে যাওয়া সবুজ রঙ-কে।
১৮’ই এপ্রিল,২০২৫