আপনার এলাকার এমপি-এর কাজ সংসদে গিয়ে আইন প্রণয়নে কাজ করা। তিনিই সেটিই করবেন। আর কিছু না। তিনি সংসদে গিয়ে ইনসাফের আইন, যৌক্তিক আইন পাস করাবেন, তা প্রয়োগে কাজ করবেন। তিনি আপনার এলাকার রাস্তা ঠিক করা, আপনার সাথে অন্য মানুষের ঝগড়া মিটানো, আপনার পকেটের খেয়াল রাখার জন্য কাজ করবে না। এগুলো ওনার কাজ না।
আপনার এলাকার এমপির কাজ না আপনাকে পদ দেওয়া, আপনার ছেলের চাকরি দেওয়া, আপনার জমি উদ্ধার করে দেওয়া। তিনি আইন প্রণেতা। তিনি তার গবেষণা, বিচক্ষণতা, দূরদর্শিতা নিয়ে আইন প্রণয়নে কাজ করবে। আর এমনটি হলেই আপনার যৌক্তিক দাবী পূরণ হবে।
এই যে সাধারণ ছাত্ররা বলে না যে ‘ লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি ‘ বন্ধ করতে হবে। কেন বলে জানেন? কারণ লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি না থাকলে আপনার এলাকার এমপি গিয়ে সেই সংগঠনে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। ছাত্র নেতৃত্ব সেই সংগঠন থেকে একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গড়ে উঠবে। ছাত্র সংগঠন কাজ করবে ছাত্রদের জন্যই।
এমনটিই হওয়ার কথা। হ্যা, ঠিক এমনটি।
আশার আলো হচ্ছে বর্তমান অধিকার ও রাজনৈতিক সচেতন তরুণ সমাজ নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত চায়। তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায়ের রাজনীতির মধ্যে সবখানে যে ব্যক্তিস্বার্থের জন্য একটি চাটুকারিতায় পরিবেশ তৈরী হয়ে, সেটি সেই তরুণ সমাজ ডাস্টবিনে ফেলে দিতে চায়।
তাই বলি, আপনারা আসলে এই সময়টায় এসে যেটিকে রাজনীতি মনে করছেন সেটি আসলে ডেট ওভায় হয়ে গিয়েছে। রাজনৈতিক সংস্কার ও গণমূখী রাজনৈতিক ধারা কোনো দল তৈরী করতে ব্যর্থ হলে সেই দায়ভার তাদেরই।
আর জনগন হিসেবে, নিজেকে দাবী করা একটি রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে জনগনের পালস না ধরতে পারলে পরিণত কেমন হয় সেটির উদাহরণ জুলাই-আগস্ট গনবিপ্লব।
Politics is a complex game, but you have to play it simply! And, especially for the people whom you represent.