জেন-জি বা লেট 90s kids থেকে শুরু করে পরবর্তীদের মধ্যে সিস্টেমের এগেইন্সটে যাওয়া, সিস্টেমকে কুয়েশ্চেন করা, সিস্টেমের বিরুদ্ধে যাওয়া কিংবা ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা যায়। আর এর জন্যই ‘একটারে মারলে একটাই মরে, বাকিগুলা যায় না’।
সিস্টেমকে কুয়েশ্চন করা দোষের কিছু না, একইভাবে সিস্টেমকে চ্যালেঞ্জড জানানোও। জেন-জি’রা যে সিস্টেম নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে এটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যার প্রমাণ আমরা পেয়েছি জুলাই-আগষ্ট ফ্যাসিবাদ বিরোধী গণ-অভ্যুত্থানে। সাধারণ কোটা-আন্দোলন যেভাবে পরবর্তীতে ফ্যাসিবাদ বিরোধী গণ-আন্দোলনে রূপ নেয় – তার অন্যতম কারণ ছিল জেন-জি’দের অদম্য সাহস, কোনো পিছুটান না থাকা কিংবা সিস্টেমকে দেখে নেওয়ার মানসিকতা।।
বাংলাদেশের জেন-জি’দের তাদের পরিবারকে ইনফ্লুয়েন্স করার ক্ষমতা থাকে। বেশির ভাগ জেন-জি তাদের পরিবারের একদম ছোট সদস্য। আর একজন ছোট সদস্যে হওয়ার কারণে সে নানা কারণে একটি সেনসিটিভ মুভে থাকে। আমরা লেট 90s কিডস কিংবা তার পরবর্তী জেনারেশন থেকে ধরতে পারি।
যেহেতু জেন-জি’রা পরিবারে একটি ডোমিনেটিং রুল প্লে করে (বিভিন্ন পার্সপেক্টিভ থেকে)- তাই আমাদের প্রত্যকে (যারা গণ-অভ্যুত্থানে) অংশ নিয়েছিলো তাদের সাথে ম্যাসিভ পারিবারিক সাপোর্ট ছিল; প্রতক্ষ্য কিংবা পরোক্ষভাবে। এটিও ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের পেছনের অন্যতম একটি সহায়ক মাধ্যম ছিল।
কিন্তু আমি স্ট্রংলি এটিও বিশ্বাস করি যে শুধুমাত্র তীব্র রাজনৈতিক সচেতনতা না বরং পাশাপাশি স্ট্রং ইমোশন কানেকশনও ছিল। যেমন সাধারন শিক্ষার্থীদের উপর অতর্কিত হামলা, হত্যা, রাজাকারের বাচ্চা ট্যাগ দেওয়াসহ নানা কারণে ওই পসিটিভ ইমোশনের জায়গাটি তৈরী হয়।
তারুণ্য ও রাজনীতি নিয়ে আমার লেখা ১ম পর্বে আমি উল্লেখ করেছি যে শুধু রাজনৈতিক সচেতনতা গণ-অভ্যুত্থানের মূল চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করেনি। কেন করেনি সেটি আজকের লেখায় আশাকরি পরিষ্কার হয়েছে।
গণ-বিপ্লবে তারুণ্য কিংবা জেন-জির সফল হওয়ার কারণ তাদের মানসিক চিন্তাভাবনার ধরণ বুঝলেই পরিষ্কার হওয়া যায়। তবে, আমি মনে করি, জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান আমাদের যে স্বপ্ন দেখিয়েছে, সেটির বাস্তবায়নের পথে তারুণ্য বা জেন’জির কাজ হওয়া উচিত অত্যন্ত সুদূরপ্রসারী। জেন-জি তাদের গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়ার পরের নতুন বাংলাদেশকে কোন পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারবে সেটি নির্ভর করে তাদের রাজনৈতিক সচেতনতা ও সুনাগরিক হয়ে উঠার উপর।