গত ৫৩ বছরে আমাদের বেশিরভাগ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ মানুষের কাছে যাওয়া বলতে শুধুমাত্র দলীয় নেতৃবৃন্দের হাসপাতালে দেখতে যাওয়া, বিবাহ ও জন্মবার্ষিকীতে যাওয়া, জনসভায় গলা ফাটানো, আর কিছু দাস পালন করা ছাড়া সাধারণ মানুষের কখনো কাছাকাছি থাকেনি। এরা সাধারণ মানুষ বলতে শুধু বুঝেছে দলীয় স্লোগান তুলা মানুষদের।
আজকে দেখলাম হাসনাত আবদুল্লাহকে সাবেক বিডিয়ার সদস্যরা জাপটে ধরে কাঁদছে। তাদের আকুতি জানাচ্ছে। তিনি খুব নিবিড়ভাবে শুনছেনও।
স্বাধীনতার পরবর্তীতে যে আন্দোলন সাধারণ মানুষের মনে সবচেয়ে বেশি আলোড়ন তুলেছে সেটি হলো সাধারণ ছাত্র জনতার ব্যানারে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’। রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি অনাস্থা ও রাজনৈতিক নেতাদের স্বেচ্ছাচারী মনোভাবের কারণে ৭১ পরবর্তী আর কোনো আন্দোলই ঠিক সাধারণ জনমানসের মনে জায়গা করে নেয়নি।
যেটি বলছিলাম, ছাত্রদের নতুন দল জনসম্মুখে আসছে খুব শীঘ্রই। এক্ষেত্রে ছাত্রদের শুধু নির্বাচন কেন্দ্রীক দলীয় কাঠামো গঠনের দিকে মনোযোগ না দিয়ে পাশাপাশি গণমানুষের কাছে পৌছানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারী বিজয়ীদের সামনে এটিও হবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সাধারণ জণগণ ছাত্রদের কন্ট্রিবিউশান এখনো ভুলে যাননি। তাদের মনে এখনো জায়গা করে আছে হাসনাত, সার্জিস, আসিফ, নাহিদেরা।
সর্বোপরি নতুন রাজনৈতিক দল যত বেশি সাধারণ মানুষের কাছাকাছি পৌছুতে পারবে, তাদের আশ্বস্ত করতে পারবে তারা তাদের মধ্যেই একজন, অতি সাধারণ কিছু তরুণ যাদের উপর দায়িত্ব অর্পিত হলে যারা জীবনবাজি রেখেও তা পালনে একনিষ্ঠ থাকবে।
আমি স্বপ্ন দেখি। নতুন রাজনৈতিক দল সত্যিকার অর্থেই গণমানুষের দল হয়ে উঠবে। হয়ে উঠবে তাদের কন্ঠস্বরে। বঙ্গীয় এলিটদের প্রতিনিধিত্ব করা বাদ দিয়ে যা প্রতিচ্ছবি হবে সাধারণ তরুণ ও জনতার।
অপেক্ষায় রইলাম। ইনকিলাব জিন্দাবাদ।
আরও লিখা পড়তে আমার সাথে যুক্ত হতে পারেন ফেসবুকঃ https://www.facebook.com/niamulanan/